বাংলাদেশে যেকোন কিছুতে বড় একটা সমস্যা হল মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার প্রবণতা—ট্রাফিক জ্যাম রোধ করতে আমরা যেমন কথায় কথায় রাস্তা বন্ধ করি, তেমনি ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এরকমই নতুন একটা সিদ্ধান্ত দেখে এই ব্লগটা লিখছি। প্রথম আলোতে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখতে পেলাম যে মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষরা প্রস্তাব দিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষার বদলে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল দিয়ে ভর্তি নিতে এবং এর কারণ হিসেবে দুইটা হাস্যকর কারণ দেখানো হয়েছে:
১) ৫০-৬০ হাজার পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া
২) প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এড়ানো
এক্ষেত্রে আমরা সবাই জানি যে যেহেতু মেডিকেল কলেজগুলোর কেন্দ্রীয় পরীক্ষা হয় তাই তাদের এত শিক্ষার্থীকে জায়গা দিতে খুব সমস্যা হওযার কথা না। আর যদি এত সমস্যা হয় তাহলে সর্বনিম্ন জিপিএ আরেকটু বাড়ালেই পারে—পুরো পরীক্ষা বাদ দেওয়া লাগবে কেন? আর প্রশ্ন পত্র ফাঁসের দায় তো তাদের নিজেদের ঘাড়েই কিছুটা হলেও পড়ে, সেই দায় এড়ানোর জন্য পুরো সিস্টেমের মাথা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত তারা নিচ্ছেন। অবশ্য আমাদের দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানরা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় নিজের সম্পত্তি মনে করে বেচে দেওয়ার হুমকি দিতে পারেন সেখানে ভর্তি পরীক্ষার বাতিল তো কোন ব্যাপারই না!
পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করা যায় একটু ভেবে দেখলে। ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের ফলে দেখা যাবে সাজেশন পড়ে এবং একই প্রশ্ন তোতাপাখির মত মুখস্ত করে তারপর যে সুন্দর হস্তাক্ষরে পরীক্ষার খাতায় ঢেলে দিয়ে আসতে পারবে সেই ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। হ্যা, এটা ঠিক যে অনেক অনুশীলন করে মুখস্ত করে হলেও ভাল ফলাফল করে তার জন্য সে অবশ্যই বাহবা পেতে পারে, কিন্তু সে আসলেই যে ওই বিষয়গুলো পারে কিনা সেটা অন্তত বর্তমান পাবলিক পরীক্ষা দিয়ে যাচাই করা অসম্ভব। মোট কথা, যে কারণেই হোক না কেন আমাদের পাবলিক পরীক্ষাগুলো খুবই সহজ এবং সেখানে মেধা যাচাইয়ের সুযোগ একেবারে নেই বললেই চলে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে শর্ট সাজেশন পড়লেই দেখা যায় যে সব প্রশ্ন কমন চলে আসে। এ কারণে পাবলিক পরীক্ষার উপর আমার দিন দিন ভক্তি আসলেই কমে যাচ্ছে।
অবশ্যই অনেকে বলতে পারেন যে পাবলিক পরীক্ষার পদ্ধতি ঠিক করলেই হয়—সেটা হয়ত অনেক দিক দিয়ে সত্য, কিন্তু আমরা যে দীর্ঘদিন ধরেও সেটা করতে পারিনি সেটাও সত্য। আর প্রত্যেক বছর যেভাবে পাশের হার এবং জিপিএ-৫ এর পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সরকারের ঊর্ধমহলে ইঁদুর দৌড় চলে সেখানে কিভাবে পাবলিক পরীক্ষাকে সাজেশনমুক্ত এবং আরো মানসম্মত করা যাবে সেটা আমার মাথায় আসছে না। (আমি আমার অনেক শিক্ষকের কাছেই শুনেছি বেশি পাশ করানোর জন্য এবং বেশি নাম্বার দেওয়ার জন্য বোর্ড থেকে শিক্ষকদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয়—সেই প্রসঙ্গে আর নাই বা গেলাম।)
সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আমাদের দেশের পাবলিক পরীক্ষার পদ্ধতি প্রমিত (standardized) না। এর মানে হল ঢাকা শহরের একজন শিক্ষক একজন পরীক্ষার্থীর খাতায় যে নাম্বার দিবেন পঞ্চগড়ের গ্রামের একজন শিক্ষক যে একই খাতায় সে নম্বর দিবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই (এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, কারন আমি নিজে বিজ্ঞানের বিষয়ে একই উত্তর দিয়ে দুই শিক্ষকরের কাছ থেকে দুইরকম নম্বর পেয়েছি; বাংলা, ইংরেজীর কথা আর নাই বললাম।) তাই এরকমভাবে যে পরীক্ষা হয় সেটা মানসম্মত হলেও সেটায় প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে মান যাচাই অসম্ভব।
অনেকেই জানেন যুক্তরাষ্ট্রে ভর্তির অনেকগুলো পর্যায়ের একটা হল SAT, TOEFL দেওয়া। অনেকে ভাবছেন আমাদের পাবলিক পরীক্ষা কি এগুলোর বিকল্প হতে পারে না? উত্তর হল: না। কারণ হল এই পরীক্ষাগুলোর সবই প্রমিতকৃত (standardized)। এখানে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে (রীতিমত গাণিতিক মডেল দিয়ে!) নিশ্চিত করা হয় যে এই পরীক্ষায় সবার ফলাফল যেন একই মাপকাঠিতে থাকে। SAT এর ৯০%-ই এমসিকিউ, আর বাকী যে একটা রচনা লিখতে হয় সেটার ক্ষেত্রেও প্রমিতকরণের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা আছে (কী কী করলে কত নম্বর দিতে হবে), তাছাড়া সেই রচনা দুই থেকে তিনজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করেন যাতে নিশ্চিত হয় যে স্কোরটা প্রমিতকৃত। ফলে আমেরিকার বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীর কাজ জিপিএ আসলে কেমন সেটা এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেকটাই বুঝতে পারেন এডমিশন কমিটির লোকজন। আমাদের দেশেও এরকম সম্মলিলিত ভাবে পরীক্ষা নেওয়াই হতে পারে সবচেয়ে ভাল উপায়। এটা নিয়ে জাফর ইকবাল স্যারের মত অনেকেই সোচ্চার আছেন দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু কোন আশ্চর্য কারণে সেটা না করে ভর্তি পরীক্ষা একেবারে বাতিল করতেই এখন উঠেপড়ে লেগেছেন অনেকেই।
সবশেষে কোচিং নিয়ে কিছু কথা। কোচিং ব্যাবসা নামক যাত্রাপালা ঠেকাতে নিজেদের নাককাটার জন্য ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের কথা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। কিন্তু কোচিং বন্ধ করে কি লেখাপড়ার ক্ষেত্রে যে বৈষম্যের কথা বলছেন সেটা ঠেকাতে পারবেন? ধনী আর গরীর অথবা শহর আর গ্রামের শিক্ষার্থীর যে বৈষম্য সেটা শুরু হয় সেটা শুরু হয় ক্লাস ওয়ান থেকে। শুরু থেকেই সব সুযোগ সুবিধা এবং গাইডলাইন পেয়ে আসা একজন শিক্ষার্থীর কাছে একজন অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী যে কিছুটা বৈষম্যের শিকার হবে সেটা তো পরিষ্কার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পার্থক্যটা তৈরী করে পরবর্তী সময়ে পরিশ্রম। আমি নিজেই দেখেছি গ্রাম থেকে ভর্তি হয়ে কলেজে হাড়ভাঙ্গা খাটনি করে আমার শহরের অনেক বন্ধুর চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকা গ্রামের শিক্ষার্থীরা ভাল করেছে। তাই কেউ যদি অতিরিক্ত শেখার জন্য কোচিং-এ যেতে চায় সেটা ঠেকানোর জন্য ভর্তি পরীক্ষা তুলে দেওয়া নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার মতই ব্যাপার।
বর্তমান সাজেশনভিত্তিক পবলিক পরীক্ষায় যেখানে মূল বইয়ের দশ শতাংশ পড়ে জিপিএ-৫ পাওয়া যায় সেখানে ভর্তি পরীক্ষাগুলো অন্তত পুরো বই একজন শিক্ষার্থী পড়ল কিনা, শিখল কিনা সেটা মোটামুটি যাচাই করতে সক্ষম হয়। তাই ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করা মানে মোটামুটিভাবে নিশ্চিতভাবে সবাইকে বইয়ের দশ শতাংশ পড়তে উৎসাহিত করা। তাই ভেবেচিন্তে মনেহচ্ছে আমাদের সবকিছু রেন্ডমাইজ করে দেওয়াই ভাল—লটারী করে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নিবে। মেধাবী লোকজন দিয়ে কী হবে? দেশ এমনি চলছে, ওমনিও চলবে; আর আমরা নিশ্চিন্তে দুইশিশি খাঁটি সরিষার তেল নাকে দিয়ে ঘুমাব।
31 Comments
মুন, গ্রাম আর শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য কমানোর উপায় কি?! সেটার উপর ভাবনাগুলো আরো বিস্তারিত আসলে ভাল হয়।
ধন্যবাদ। পোস্টের মূল আলোচনা সেটা ছিল না, তাই আর বেশি কথা বাড়াই নি। আশা করি আগামীতে এগুলো নিয়েও লিখব।
E abr kmn ktha?porikkha hbe na kn?tahole to A+ Paoa sokol kei vorti kora lgbe!
মুন ভাইয়া আপনার সাথে আমি এক মত ।যদি পাবলিক পরীক্ষার ভিত্তিতে এই মেডিকেল ছাত্র ছাত্রী বাছাই হয় তবে টাকার খেলা শুরু হবে ।শুনেছি যে আজ কাল টাকা দিলে খাতা চেলেঙ্জ এএ গোল্ডন পাওয়া যাচ্ছে ।।তো এখানে তো টাকার বদলে এডমিসন মিলতেই পারে
ভাই পড়ে শান্তি পেলাম । মনের কথাগুলা লিখেছেন ।
ধন্যবাদ।
আমাদের দেশের বড় বড় কর্তাদের যদি চিন্তাধারা পরিবর্তন হত । ওনার এখনো সেই সনার্তন চিন্তাভাবনায় পড়ে আছে
সুন্দর সবলীল লেখা ভাইয়া।
Vai addmission er khetre dhakar polapan je vabe sekha o janar sujog pai sevabe to amra pai na. Ai jonno to amra piciya porci. Ai somporke apnar motamot ki?????????????????//
এইটা তুমি একটু চেষ্টা করলে হয়ত নিজেই করতে পার। যেমন: এইচএসসিতে থাকার সময় যেসব বড় ভাই বিভিন্ন ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে তাদের সাথে কথা বলতে পার, পুরাতন প্রশ্ন দেখতে পার ইত্যাদি। ঢাকার সব ছাত্র যে তোমার থেকে ভাল এরকম এরকম ধারণা ভুল।
Good one.
Keep going.
উপায় কি সমস্যা তো আমিও বুঝলাম সমাধান টা কি?
সমস্যা হল বর্তমান পদ্ধতিতে তো তেমন কোন সমস্যাই নাই তাও সেটা কোন অদ্ভুত কারণে পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বরং বর্তমান পদ্ধতিতে কিভাবে প্রশ্নের মান আরো বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করা উচিত।
কথা হচ্ছে এ প্লাস পাওয়া মানেই কি একজন ছাত্র মেডিকেল এ পড়ার জন্য উপযুক্ত? দেশের শিক্ষাব্যাবস্থা এখনো এমন পর্যায়ে যায় নি এ প্লাস পাওয়া মানেই রাস্ট্র কর্তৃক ভেরিফায়েড মেধাবী সে,অনেকটা সিএ কিংবা এফসিপিএস পরীক্ষার জন্য।এমন অবস্থা হলেতো যারা সামান্য কারণে এপ্লাস পায়নি বা শিক্ষকের নাম্বার কম দেয়ার কারণে কম পেয়েছে তার মেডিকেল এ ভর্তির স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে।
Durnitir 1 ta bishesh upay abishkar hoilo…shunlam amader prapto number o naki dekha hobe….but amra keu to r nijeder prapto number jani na…r shei sujoge medical kortipokkho taka kheye jake khushi take vorti korte parbe…coz amra keu jani na kar marks koto…
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশের মাঝেই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে অনেক বিরক্তি কাজ করে। তারা ধরেই নেয়, যারা মাথা না খাটিয়ে কেবল মুখস্ত করতে পারে, তারাই মেডিকেলে চান্স পায় আর ভাল করে। ধারণাটা কিছু ক্ষেত্রে ভুল বটে। কিন্তু এটাই সবার মাথায় গেঁথে গেছে। আর তারচেয়েও ভয়ঙ্কর, জিপিএ ৫ পাওয়া ঢাকার কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য যতটা সহজ, একটু মফস্বলের দিকে গেলেই সেটা আর ততটা সহজ থাকেনা। কারণ সেখানে সুযোগসুবিধা কিছুটা কম ই বলা যায়। তাই বৈষম্য আসলে একটা থেকেই যায়।
এরকম পরিস্থিতিতে এই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই মনেহয় বেশি। দেখা যাবে, যারা মেইন স্ট্রিমের শিক্ষার্থী তারাই কেবল মেডিকেলে চান্স পাচ্ছে। আর অপেক্ষাকৃত পেছনের দিকের শিক্ষার্থীরা পেছনেই থেকে যাচ্ছে।
হুম মেডিকেলে ভর্তির ক্ষেত্রে “সোডিয়ামের আয়নিক ব্যাসার্ধ কত” এরকম প্রশ্ন আসার কথা শুনেছি। তবে এরকম প্রশ্ন তো আর পুরোটা জুড়ে থাকে না। তাই মান ভাল না হওয়ার পরও অন্তত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায় যে একজন পাঠ্যবই কতটা পড়েছে। ভর্তি পরীক্ষা না থাকলে এই বিষয়টা একেবারেই থাকবে না।
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। কিছু প্রশ্নে নাকি ৪ টা অপশনের মাঝে ৩ টাই উত্তর থাকে। আমার কথা হল যদি তিনটাই উত্তর হয় তাহলে প্রশ্নটাই উলটে দিলে পারত!!
আবার আমাদের সময়ের একটা প্রশ্নের কথা মনে পড়ল
কোনটি সঠিক??
a) E=mc^2
b) e=Mc^2
c) E=mC^2
d) E=Mc^2
প্রশ্নটা পরে কিছুক্ষন অবাক হয়ে ছিলাম, তারপর হেসে ফেলছিলাম।
যাই হোক পোস্ট টির সাথে সহমত পোষন করছি… কিছু কিছু কথার ব্যাপারে একটু বেশি ই সহমত!!!
Akhn ashole G.P.A 5 beparta expectation ar onk bahire chole geche. Yr by yr j A+ ar chora chori & education minister ata k shikkhar ogrogotir +ve dik hishabe akkhaito korchen. Adou ki ate shikkhar man barche? Tar upor morar upor khara! Ak kothae admission test chara not only medical clg but also any varsity te admission process start hole corruption ar notun digonto unmochito hobe. Shocheton student hishabe ata amra kokhonoi mene nite parina, never. Amra chai j public xam a result jai hok na kno, jar moddhe real talent ache shei jno shujog pae, that’s all. Thanks Moon vaia.
পোস্টের শেষ লাইন পড়ে একটা প্রচলিত জোক মনে পড়ল, এক নাস্তিক পর্যটক বাংলাদেশ ঘুরে গিয়ে দেশে ফিরে পুরোপুরি আস্তিক হয়ে গেলেন, নিয়মিত চার্চে যাওয়া শুরু করলেন। লোকজন তার এই পরিবর্তনের কারণ জানতে চাইলে তিনি জবাব দিলেন, “ঈশ্বর যদি না-ই থাকেন, তবে ঐ দেশটা চালাচ্ছে কে?”
পোস্টের সাথে পুরাই সহমত। তবে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করার কোন সহজ উপায় আপাতত নাই। বাংলাদেশের কয়জন শিক্ষার্থী SAT, TOEFL, IELTS, GRE, GMAT দেয়? কিন্তু এগুলো নিয়েও যে কোচিং ব্যবসাটা চলছে, সেখানে আমাদের দেশে এরকম পরীক্ষা চালু হলে কোচিং ব্যাবসায়ীদের তো পুরা পোয়াবারো!
এমনিতেও কি কোচিং ঠেকানো গেছে/যাবে বলে মনে হয়? কারো যদি নিজের টাকা খরচ করে অতিরিক্ত সাহায্য নেওয়ার ইচ্ছা থাকে সেটাতো আর ঠেকানো যাবে না। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে সবার মনের মধ্যে একটা ধারণা ঢুকে গেছে যে কোচিং ছাড়া চান্স পাওয়া যায় না– এরকম মানসিকতা থেকে দ্রুত মুক্তির উপায় দেখি না।
একটা কমন marking scheme দেয়া যায়,যেটার ভিত্তিতে সব শিক্ষকরা একি স্ট্যান্ডার্ড এ মার্ক দিবেন এটা নিশ্চিত করা যায়….এই নিয়ম বাইরের দেশের প্রায় সব examining body তে অনুসরণ করা হয়।
কিন্তু সেটা আসলে এইচএসসিতে করা বেশ কষ্টকর (বলা ভাল প্রায় আসম্ভব)। তাই এইচএসসিও থাকুক, সাথে এডমিশন টেস্টও থাকুক। বরং টেস্টের মান কিভাবে ভাল করা যায় সেই চেষ্টা করা হোক।
একদম ঠিক চিন্তা ভাবনা। বুঝি না *তেনারা* কেন বুঝেন না এই সহজ কথা !
Jak , Abar Dunitita korar jonna aro easy hoie gelo…….Sabash MBBS………
এটা পুরাটাই অমানবিক
আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকদের কায়দা কানুন দেখলে মনে হয় আমরা ২০১২ থেকে ১৯১২তে ধাবিত হচ্ছি।
এখন এত জিপিএ ৫ গোল্ডেন জিপিএ ৫ কিভাবে পায় তা জানা আছে। এমনও ছাত্র আছে কিছু পারে না পরীক্ষা হলে অন্যের খাতা পুরো কপি করে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাইছে। তারপর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাতে পাইছে ১০ (আমার পার্সোনাল অভিজ্ঞতা। )
তাছাড়া যারা ইংরেজি মাধ্যম থেকে পাস করেছে তাদের সাথে এদের মেধার সমকক্ষতা কিভাবে বের করবেন।
ঢাকা বোর্ড আর যশোর বোর্ড একই প্রশ্নে পরীক্ষা হয় না। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতার পরীক্ষকরা। ফলে পরীক্ষার্থীরা মূল্যায়িত হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে।
গ্রেডিং সিস্টেমে আছে বৈষম্য। ৮০ এবং ১০০ সমান না। ঠিক তেমনি ৭৯ এবং ৮০ পাওয়া ছাত্রের মেধার পার্থক্য অতি সামান্য । অথচ প্রথম দুজন এ প্লাস। আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৭৯ এ আর ৮০ এ প্লাস।
গুটি কয়েক প্রশ্ন মুখস্থ করেই জিপিএ ফাইভ পাওয়া যায়।
এটা করলে অনেক ফাউল পোলাপান ডিএমসিতে ঢুকবে।
বরং প্রথম দফায় বিসিএস পরীক্ষার আদলে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা এবং দ্বিতীয় দফায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব ভাল।
সহমত।
41yrs poreo ami shadinota take khujchi
ai year e Ctg board er ekta kahinir choto example dei :: ai year e ssc exam e amadr shob gulo subject ei creative system ba srijonshil ( srijonshil er jaat o na ) method e exam hoyeche…toh Benglai 1st paper 60 nmbr er subjective and 40 mark obj. Toh exam sheshe board chairmen shoddo training kore asha 17 JON MASTER TRAINER (jara tchr der srijonshil systm er training dey,& board er exprncd tchr,porjobekkhok) ke deke 1 ta student er Bengali 1st paper er subjective khata shobaike alada alada vabe kat te dilen…tchr ra stdnt er khatai nmbr na diye alada kagoje nmbr dilen.
Aibar tader nmbr deya dekhun: total marks 60 :: –
ekjon dilen : 58.
Onno ekjon : 41.
Keo dilen : 27.
Aivabe 17 jn tchr 17 rokomer nmbr dilen…
Take a look ::
student ta mcq or objctv e 34 peyeche out of 40.
Ekhn 58 jini diyechen tini khata katle stdnt ta pabe 58+34=92.
Jini 27 diyeche tini khata katle stdnt ta pabe 27+34=61.
Aibar bolun ekta 92 pawa stdnt kive 60 er ghore name?? A+ er jaigi shei pacche A-.
Ha ami nijei er victim..
Amar side man amar theke dekhe dekhe golden peye ctg board e 103 tomo hoyeche…
Ami Islamic studies e etto valo exam diyeo o ai subject er karone golden miss kore anek pichiye jai…
Tchr der faltumir victim keno amra hobo? Bangladesh aishb f**kin ministr & other faul loker jonno keno amader medical e porar shopno shesh hoe jabe??? Proshno roilo aapnader kache,..??
Vaiyya.amar khub icca medical porar.
Kintu Ami bujhte partesi na j medical e chance Pete hole kon college e admit hote hobe.mane kon college porle obosshoi chance milbe??